ঢাকার উপকন্ঠে নদী তীরবর্তী কেরানীগঞ্জ এ অবস্থিত খাজা সুপার মার্কেট একটি প্রসিদ্ধ ও সুপরিচিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। বিগত বিশ বছরেরও অধিক সময় ধরে এখানে পাইকারী ও খুচড়া কাপড় ব্যবসায়ীগণ আমদানী নির্ভর ও দেশীয় কাপড় উভয় প্রকারের মালামালের ব্যবসা নিশ্চিন্তে করে আসছেন।
ঢাকা আভ্যন্তরীন নদীবন্দর সদরঘাট নৌ টার্মিনাল ও তৎসংলগ্ন বাদামতলি - ওয়াইজঘাট এর বিপরীত তীরে গড়ে ওঠা এই মার্কেটটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় রয়েছে আমদানিকৃত ও দেশীয় পোষাকের পাইকারী ও খুচড়া দোকানদার - ব্যবসায়ীদের সমাহার । যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারনে বর্তমানে ব্যবসায়ীগণ তাদের মালামাল সড়ক এবং নদী দুই পথেই আনা নেওয়া করতে পারেন খুব সহজে ও সুলভে।
প্রতিষ্ঠানটিকে আরও ব্যবসা বান্ধব ও আকর্ষনীয় করার উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ তৃতীয় তলায় (২০,০০০ / বিশ হাজার বর্গফুট ফ্লোর)রকমারী পণ্য বিশেষ করে মহিলাদের কসমেটিকস, টু-পিস, থ্রী-পিস, থান কাপড়; বাচ্চা ও ছোটদের পণ্য; বিভিন্ন চামড়াজাত উৎপাদিত জিনিস যেমন ব্যাগ, জুতা, স্যান্ডেল; ইলেকট্রনিক পণ্য, মোবাইল, কম্পিউটার এবং নানা রকমের বৈদ্যুতিক সামগ্রীর শো-রুম এর জন্য পাইকারী ও খুচড়া ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিতে ইচ্ছুক ।
এছাড়াও সুবিধাজনক অবস্থানের কারনে এই মার্কেটের ফ্লোর স্পেস দেশী-বিদেশী সংস্থা, ব্যাংক, শিখ্খাপ্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহের দাপ্তরিক কাজের অফিসের জন্যেও আকর্ষণীয়।
খাজা সুপার মার্কেটের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১. মার্কেটটির মোট পাঁচটি বিল্ডিং বিদ্যমান যার সর্বমোট আয়তন কমপখ্খে এক লাখ (১,০০,০০০) স্কয়ারফিট।
২. বিল্ডিংগুলোর বিভিন্ন তলা ও আকার অনুযায়ী এক একটি ফ্লোর এর আয়তন সর্বনিম্ন পাঁচ (৫,০০০) হাজার হতে ১০৫০০ স্কয়ারফিট পর্যন্ত। কাজেই ছোট বড় সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে চাহিদা অনুসারে ভাড়া প্রদান সম্ভব।
৩. প্রতিটি বিল্ডিং এর রয়েছে একাধিক সিঁড়ি এবং বিল্ডিংগুলোর মধ্যে আভ্যন্তরিন সংযোগ বিদ্যমান থাকায় জরুরী অবস্থায় বিভিন্ন দিক দিয়ে খুব সহজেই নির্গমন সম্ভব।
৪. মোট পাঁচটি সাবমার্সিবল বা গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি সরবরাহের নিশ্চয়তা। বিল্ডিং এর ছাদ অথবা ভূগর্ভস্থ ট্যাংক বা সংরখ্খনাগার থেকে তাৎখ্খণিক পানি সরবরাহের মাধ্যমে অগ্নিকান্ড নির্বাপনের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
৫. দুইটি ৪০০ কেভিএ ট্রান্সফর্মার এর মাধ্যমে (সর্বমোট ৮০০ কেভিএ সাবস্টেশন) বৈদ্যূতিক সংযোগ (শিল্প ও বাণিজ্যিক উভয়) এর চাহিদা মেটানো হচ্ছে। আরও ২০০ কেভিএ অতিরিক্ত সংযোগ স্থাপন করার আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৬. মার্কেটের নিরাপত্তা দিন রাত নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপখ্খের নিজস্ব রখ্খী ছাড়াও ব্যবসায়ীবৃন্দ প্রতি তলায় তাঁদের প্রয়োজনে আলাদা দারোয়ান রাখার ব্যবস্থা রেখেছেন।
৭. মার্কেটের সন্মুখেই রয়েছে বুড়িগঙ্গা বেড়িবাঁধ রাস্তা (বা আলম মার্কেট রোড) এবং রাস্তার অপর পাশেই নৌকা ঘাট ও তৎসংলগ্ন বহমান বুড়িগঙ্গা নদী। কাজেই সড়ক ও নৌপথ উভয় মাধ্যমেই ব্যবসায়িক মালামাল আনা নেওয়া ও চলাচল করা যায় খুব সহজেই ।
৮. পচনশীল দ্রব্য সমূহ (এবং বাজার) বাদে নানা ধরনের পাইকারী-খুচড়া দোকান , বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুম, আউটলেট, খ্খুদ্র বা মাঝারি ধরনের শিল্প কারখানা, গোডাউন বা গুদামজাত পণ্য সংরখ্খণাগার, এমনকি ব্যাংক, বীমা অথবা বিভিন্ন ধরনের অফিস ইত্যাদি আনুসঙ্গিক সকল ধরনের কার্যক্রমও পরিচালনা করা সম্ভব।
৯. মার্কেটটির অবস্থান কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওতাধীন হলেও ঢাকার গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট হতে এর দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটারের থেকেও কম। কাজেই মহানগরী ঢাকার সকল সুযোগ সুবিধাসমূহ সহজলভ্য এবং নাগালের মধ্যেই বিদ্যমান।
১০. বর্তমানে কেরানীগঞ্জ ?গার্মেন্টস পল্লী? হিসেবে জনপ্রিয় একটি নাম । স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন প্রকল্প চালু হওয়ার দরুন কেরানীগঞ্জের অর্থনৈতিক গুরুত্ব খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে দেশী বিদেশী বিনিয়োগ হওয়ার কারনে এলাকার তাৎপর্যতা আরও ব্যাপক ও গভীরতা লাভ করবে। এর প্রমাণ হিসেবে বলা যায় সরকারী ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্প, পানগাঁও অভ্যন্তরীন কন্টেইনার নদী বন্দর, কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তর ইত্যাদিসমূহ।